তটিনীর তীরে একা অনাবিল শান্তিতে,
প্রাচীন এবড়ো খেবড়ো শিলার পাদদেশে।
মনের মধ্যে কেমন যেন মায়াবী বিষণ্ণতা,
দুই হস্তে রাখা ফুলগুলো
করছে প্রতীক্ষা।
নদীটা যেমন করে প্রতিদিন
বহে চলে তেমন ভাবেই নিরুদ্দেশের পথে এগোচ্ছে।
গাছেদের গায়ে সামান্য
পরিবর্তনের ছোঁয়া,
বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায়
খানিকটা মনমরা। মেয়েটি কোনোকিছুই দেখতে
চাইছে না, শতদিন যাবৎ তাকে তাড়াচ্ছে
মূর্ছনা।
ভালোবাসার মানুষ কবেই
ভুলেছে তাঁকে,
তবুও কাছের মানুষের তরে দিন কাটছে
তার স্বর্গের হাসিমাখা
শরীরটাকে আঁকড়ে। জীবনপথে অনেক বস্তুই হারিয়ে গেছে।
কিন্তু তার হৃদয় চুপিসারে
খুজে চলে,
হারানো শিশিরকে ঘাসের
আলগোছে।
-সুমিত দে